রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্র

♦ ঈদুল ফিতর ♦ বাংলা নববর্ষ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্র

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধবিহারসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। বৌদ্ধবিহার ছাড়াও পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া, নগরীর ধর্মসাগরপাড়, গোমতী নদীর পাড়, রাজেশপুর ফরেস্ট বিট ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোতে মানুষের ভিড় জমে।

সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে  রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকা পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। শালবন বৌদ্ধবিহারের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন রঙের ফুল তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। পাতাবাহারও তার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। তালগাছের মাথায় বাসা বোনায় ব্যস্ত বাবুই পাখি। খেজুর গাছের মাথায় ঝুলছে হলুদ ফলের কাদি। রূপ মেলে ধরে সবার অপেক্ষা দর্শনার্থীদের জন্য।

এদিকে ঈদের ছুটিতে দেখা যেতে পারে লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা জমিদারবাড়ি, মুরাদনগরের দৌলতপুরে কাজী নজরুলের স্মৃতি জড়ানো স্থান ও কয়েকটি জমিদারবাড়ি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঈদে শিশুরা কোথায়ও ঘুরতে যেতে চায়। কাছাকাছি কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধবিহার রয়েছে। ঈদে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ ইকবাল বলেন, কুমিল্লায় সম্প্রতি ভালো কিছু আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। সেখানে পরিবার নিয়ে থাকা ও খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার। দুই দিন হাতে নিয়ে এলে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখা যাবে।

শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম জানান, ঈদে এখানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। গত ঈদুল ফিতরে আমাদের ৫ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। এবার আরও বেশি হবে বলে আশা করছি।

 

সর্বশেষ খবর