রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
চুয়াডাঙ্গায় ৪০ ডিগ্রি

রেকর্ড তাপমাত্রায় জনজীবনে অস্বস্তি

তাপপ্রবাহ নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে- বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেকর্ড তাপমাত্রায় জনজীবনে অস্বস্তি

অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ রাজশাহীর মানুষ। গরমের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে গোসল করছে কিশোররা

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আরও এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়। বৃষ্টিপাত নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে- বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। টানা কয়েকদিনের ভাপসা গরমে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। ফলে রোজাদার, খেটেখাওয়া মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গরমের কারণে সামনে ঈদ হলেও দিনের বেলা বাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম থাকছে। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে এপ্রিলের শুরু থেকেই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এ জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া ভালো। পাবনায় কয়েকদিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে পাবনায়। গতকাল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়েছে পাবনা। তীব্র এ তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি বেশি বেড়েছে। হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, শনিবার পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর আগে ১ এপ্রিল পাবনায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এরপর গতকাল সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর