সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
শেষ মুহূর্তে উপচে পড়া ভিড়

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কেনাকাটা খুলনায়

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্যের সম্ভার দেখাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সে সব পণ্য খুঁটিয়ে দেখে কিনছেন

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

কয়েক দিনের প্রচন্ড দাবদাহের পর খুলনায় বিভিন্ন স্থানে গতকাল বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই কালো মেঘে ছেয়ে থাকে আকাশ। হঠাৎ মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়া ও দুয়েক পসলা বৃষ্টি ভোগান্তি তৈরি করে। তবে বৈরী আবহাওয়া উপক্ষো করেই খুলনায় ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভিড় দেখা যায়।

খুলনা নিউ মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, ডাকবাংলো, জলিল টাওয়ার, খালিশপুর, মশিউর রহমান মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। কোথাও জায়গা নেই। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্যের কালেকশন দেখাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সে সব পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই সবাই কেনাকাটা শেষ করতে চাইছেন। এ কারণে ছুটির দিনগুলোতে কেনাকাটা শেষ করতে না পারলে পরে শিডিউল মেলাতে পারবেন না। ফলে মার্কেটে ক্রেতার চাপ বাড়ছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর গতকাল ছিল শবেকদরের ছুটি। দুপুরের দিকে রেলওয়ে মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। পাঞ্জাবি, থ্রিপিস ও বাচ্চাদের বাহারি ডিজাইনের কালেকশন থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানগুলোতে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ এসেছে কেনাকাটা করতে। রিকশায় করে যারা এসেছেন দেখা গেল অনেকে ভিজে গেছেন।

ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। এবার ঈদে খুলনায় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল আঘানূর থ্রিপিস, সাদাবাহার, মারিয়াবী, দিল্লি বুটিকস, আলিয়া কাট ও নায়রা কুর্তি। থ্রিপিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ও ব্র্যান্ডের থ্রিপিস ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতাদের অনেককেই দেখা গেল আগেই পোশাক কিনে ফেলেছেন। এখন এসেছেন মানানসই জুতা ও টুকিটাকি জিনিসপত্র কসমেটিকস কিনতে। নগরীর হাজী ইসমাইল রোডের বাসিন্দা কামরুন্নাহার শিরিন বললেন, চাকরি করি। তাই ছুটির দিনে শপিং করতে হয়। পরিবারের প্রায় সবার জন্যই কেনাকাটা শেষ করেছি। এখন নিজের জন্য কিছু কসমেটিকস কিনতে এসেছি।

জানা যায়, সন্ধ্যার পর খুলনা নিউমার্কেট, ডাকবাংলো, পিকচার প্যালেস, ক্লে রোড, কেডি ঘোষ রোড, শপিং কমপ্লেক্স ঘিরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ক্রেতার ভিড়ে এ সময় পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। মার্কেটকেন্দ্রিক যানজট এড়াতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত করেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর