মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

কেরানীগঞ্জে তৈরি হতো নকল ভ্যাকসিন, গ্রেফতার ৪

♦ ১০ টাকা দিয়ে টিটেনাস কিনে ‘হেপাবিগ’ বানিয়ে ৪ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করত। ♦ ৫ টাকা দিয়ে ক্লোপিকজল বানিয়ে ডেনমার্কের ওষুধ বলে বিক্রি করত ৪৫০ টাকায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

হেপাটাইটিস বি রোগ প্রতিরোধের জন্য কেরানীগঞ্জে তৈরি হতো ‘হেপাবিগ ভ্যাকসিন’ নামে ইনজেকশন। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা দামের এ নকল কোরিয়ান ভ্যাকসিনটি তৈরি করে বাজারজাত করছিল একটি অসাধু চক্র। রাজধানীর কোতোয়ালি ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধসহ এ চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ। তিনি জানান, শুধু হেপাবিগ নয়, চক্রটি নকল ভিটামিন ডি-৩ অ্যাম্পুল ইনজেকশন, রেসোগাম পি, ক্লোপিকজল ডিপোর্ট, ফ্লুয়ানজল ডিপোর্ট, হেপাবিগ হেপাটাইটিস বিসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি নকল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরি করত। তারা এসব ওষুধের হুবহু প্যাকেজ করত, সাধারণ মানুষের চেনার উপায় নেই। তারা নকল ওষুধগুলো বানিয়ে অধিক লাভে বিক্রি করত। তিনি আরও জানান, তারা ১০ টাকা দিয়ে টিটেনাস কিনে ‘হেপাবিগ’ বানিয়ে ৪ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করত। ৫ টাকা দিয়ে ক্লোপিকজল বানিয়ে ডেনমার্কের ওষুধ বলে বিক্রি করছে ৪৫০ টাকায়। গর্ভবতী নারীদের প্রয়োগ করা হয় রোসোগাম পি। এটা জেসন গ্রুপের একট্রোপিন ১০ টাকা দিয়ে কিনে ‘রোসোগাম’ বানিয়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করত। এভাবে বিভিন্ন ওষুধ নকল করে বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। তিনি বলেন, কিছু অসাধু লোক মিটফোর্ড থেকে ওষুধের কাঁচামাল সংগ্রহ করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ইনজেকশন তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। চক্রটি টিটেনাস দিয়ে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন বানাত, ভিটামিন বি-৩ বানাচ্ছিল একটুপিস সকেট দিয়ে এবং ক্লোপিকজল বানাচ্ছে ইন্ডিয়ান ড্রাইকিজাম অ্যাম্পুল দিয়ে।

মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ বলেন, এসব নকল ওষুধের কার্যকারিতা না থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো সেবা পেত না, বরং নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতো। তিনি জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ার হোসেন (৪৪), অসিম ঘোষ (৪৬), মশিউর রহমান ওরফে মিঠু (৩৮) ও নূরনবী (৩৫)।

সর্বশেষ খবর