মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দর্শনার্থীর পদচারণে মুখরিত পর্যটন কেন্দ্র

প্রতিদিন ডেস্ক

দর্শনার্থীর পদচারণে মুখরিত পর্যটন কেন্দ্র

টানা ছুটির কারণে এবার রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক ভিড় করছেন দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পর্যটন এলাকার মোটেল-হোটেলগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।

কক্সবাজার : লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ বঙ্গোপসাগর তীর। সব বয়সী মানুষ মিলিত হয় নোনাজলে। সৈকত পাড়ের তারকা মানের হোটেলগুলো সাজে নতুন করে।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। মোটেল-হোটেলগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। এখানকার আলুটিলা গুহা, রিচাংঝরনা, দেবতা পুকুর, পানছড়ির শান্তিকুটির, হাতিরমাথা, হর্টিকালচার পার্কসহ সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড়ে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।

সিলেট : ছুটি কাটাতে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম। সিলেটের সবকটি পর্যটন কেন্দ্র ও হোটেল-রেস্তোরাঁ ছিল সরগরম।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুঁটকিপল্লী, ঝাউবাগান, চর গঙ্গামতীসহ কুয়াকাটার সব পর্যটন স্পটেই এখন পর্যটকদের আনাগোনা। প্রচন্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরে যেন প্রশান্তির পরশ খুঁজে পেয়েছেন আগত পর্যটকরা। অনেকে বিভিন্ন বাহনে ঘুরে দেখছেন দীর্ঘ সৈকতের পর্যটন স্পটগুলো। স্থানীয়রা জানান, দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। প্রতিটি পর্যটন স্পটেই এখন সরব উপস্থিতি।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখরিত। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে জমতে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, ফয়’স লেক, নেভাল, চট্টগ্রাম চিডিয়াখানা এলাকা ছিল লোকারণ্য। পর্যটকদের পদচারণে উচ্ছ্বসিত সংশ্লিষ্টরাও। ঈদ মৌসুম ঘিরে জমজমাট বেচাকেনাও করেছে পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান, কটেজ, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা ছুটিতে মানুষ যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে বিনোদন উপভোগ করতে পেরেছে।

বাগেরহাট : ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজসহ বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও শরণখোলা বলেশ্বর নদের রিভারভিউ এলাকায় রয়েছে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে এখনো ছুটে আসছেন পর্যটকরা। আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যটকের এই ঢল অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। সড়কপথে বাগেরহাটের মোংলার সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করমজলেই ভিড় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণপিয়াসীদের। এ ছাড়াও বনের হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, আন্ধারমানিক ছাড়াও শরণখোলা ও আলীবান্দাসহ অন্যান্য স্পটে ঢল  নেমেছে পর্যটকদের।

শ্রীমঙ্গল : শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। পর্যটকদের গাড়ির চাপে শহরের ভানুগাছ সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ঈদের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনেও লক্ষণীয় ভিড় ছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। পর্যটকরা ঘুরে বেড়িয়েছেন চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ৭১ বধ্যভূমি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, টি মিউজিয়াম এবং বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, নীলকণ্ঠ চা কেবিনসহ দর্শনীয় স্থানগুলো।

কুমিল্লা : শালবন বৌদ্ধবিহারসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতী জাদুঘর। বৌদ্ধবিহার ছাড়াও পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলামুড়া, নগরীর ধর্মসাগর পাড়, গোমতী নদীর পাড়, রাজেশপুর ফরেস্ট বিট ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোতে মানুষের ভিড় জমে।

সর্বশেষ খবর