স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স স্বাস্থ্য খাতের জন্য নতুন এক অশনিসংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এখন মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও বিস্তার লাভ করেছে। তাই বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতের এ হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে ‘ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিজেই অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে স্বাস্থ্য খাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটা কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া অবাঞ্ছিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ।