বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মৃত্যু বাড়ছে প্রসূতি মায়েদের

চট্টগ্রাম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শঙ্কা বাড়াচ্ছে অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রায় ক্ষেত্রে পূর্ব কোনো উপসর্গ ছাড়াই অদৃশ্য কারণে মৃত্যু হচ্ছে প্রসূতি মায়ের। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠছেন প্রসূতি মায়েরা। এ নিয়ে ক্রমেই তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। চিন্তায় পড়ছেন প্রসূতি রোগীরা।         

জানা যায়, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে তিনটি হাসপাতালে  অস্বাভাবিকভাবে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছয়জন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে একজন। চলতি মাসে চট্টগ্রামের বেসরকারি দুটি হাসপাতালেও মারা যান দুই প্রসূতি। এ ছাড়া বেসরকারি আরও কয়েকটি হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও এসব সরকারি হিসাবে আসেনি। তবে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে দ্রুত তা সিভিল সার্জন কার্যালয়কে জানাতে চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রায় ২৫০ হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে স্বাস্থ্য অধিদফতর ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালককে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের ‘ডেথ রিভিউ’ নামের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি শঙ্কা তৈরি করছে। আমরা প্রথম দিকেই বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ ছাড়া ডেথ রিভিউ কমিটির কাছে সংশ্লিষ্ট রোগীদের কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এমন মৃত্যুর বিষয়টির কারণ দ্রুতই উদঘাটন করা জরুরি।

ডেথ রিভিউ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আকতার বলেন, ইতোমধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। এখন  দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন করব।  জানা যায়, তিনটি হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর রোগীর ব্যবহৃত ওষুধের ৪০টি স্যাম্পল সংশ্লিষ্ট ফার্মেসিগুলো থেকে সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে স্যাম্পলগুলো টেস্ট করা হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা তিনটি হাসপাতালের সিজারের সময় ব্যবহৃত ওষুধ সমূহের ৪০টি স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়েছি। রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর