পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার পরও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল ডিএমপি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে দেওয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক। উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়। ডিএমপি আরও বলেছে, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এ কর্মকান্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বলে উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ডিএমপির দেওয়া বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত কয়েক বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ক্যাম্পাসে সব আয়োজন বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু উদীচী সে নির্দেশনা মানবে না বলে ঘোষণা দেয়। তারা পয়লা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগে ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।