শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিলেটে বৈশাখী মেলা

উৎসবে রঙিন সুরমা পাড়

প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

প্রায় এক যুগ পর সিলেটে সুরমা নদীর পাড়ে বসেছে বৈশাখী মেলা। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করেছে সম্মিলিত নাট্যপরিষদ। মেলার স্টলগুলোয় প্রাধান্য পেয়েছে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পণ্য। এ ছাড়া সপ্তাহব্যাপী মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় আগন্তুক দর্শনার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সিলেট শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর উত্তরপাড়।

সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ক্বিনব্রিজের পার্শ্ববর্তী আলী আমজদের ঘড়ি ও সারদা স্মৃতিভবন ঘিরে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিতি দীর্ঘদিনের। বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মেয়র থাকাকালে প্রতি বছর এ স্থানে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতেন। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জমজমাট মেলা বসত এ স্থানে। পরবর্তীতে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় মেলার কার্যক্রম। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর আবারও মেলায় মেতেছে সুরমাপাড়। সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবার মেলার আয়োজন করেছে সম্মিলিত নাট্যপরিষদ।

নাট্যপরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত জানান, সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলায় প্রায় ৪০টি স্টল বসানো হয়েছে। বেশির ভাগ স্টলে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও হস্তশিল্প স্থান পেয়েছে। শহুরে জীবনে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের সফঙ্গ পরিচয় করিয়ে দিতে এমন উদ্যোগ। এ ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এর মধ্যে রয়েছে নাচ, গান, আবৃত্তি, লোকনাট্য, বাউল গান, ধামাইল গান, বিয়ের গান ও পুঁথিপাঠের মতো হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী এসে মেলা উপভোগ করছেন বলে জানান তিনি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর