শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশ থিয়েটারের অচলায়তনের অপ্সরী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

পুলিশ থিয়েটারের অচলায়তনের অপ্সরী

পতিতালয়ের বাসিন্দাদের অন্ধকার জীবন এগিয়ে যায় নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। জীবনের বাঁকে বাঁকে শুধু চাপাকান্না আর আর্তনাদ। সমাজ ও সংসার থেকে প্রায় বিচ্যুত তারা। এমন ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে নাটক ‘অচলায়তনের অপ্সরী’। নাটকটি মঞ্চে এনেছে পুলিশ থিয়েটার। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের চতুর্থ প্রযোজনার তৃতীয় মঞ্চায়ন।

পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান রচিত ও নির্দেশিত এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অন্যদিকে একই সময় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় প্রাঙ্গণেমোর প্রযোজিত নাটক ‘টিনের তলোয়ার’।

রানীকে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয় অসাধু চক্র। কিন্তু সে কোনোমতেই নিজেকে খদ্দেরের হাতে তুলে দেয় না। পতিতালয়ের সরদারনি জোরপূর্বক রানীকে খদ্দেরের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু রানী প্রতিবাদে ঝলসে ওঠে। অন্যদিকে এলাকার মাস্তানরাও নানা ধরনের উৎপাত করে পতিতাপল্লীতে। রানী ধীরে ধীরে পতিতালয়ের অন্য মেয়েদেরও নিজের দলে ভিড়ায়। রানীর সংস্পর্শে এসে অন্য মেয়েরাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকার মাস্তান। কিন্তু ভালো কাজে এগিয়ে আসে পতিতালয় এলাকার দোকানদার প্রতিবাদী যুবক। এই যাত্রায় রক্ষা পায় পতিতা রানী। অন্যদিকে, রানীর সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে কুচক্রীমহল গ্রাম থেকে আসা রানীর এক ভাইকে খুন করে ফাঁসিয়ে দেয় রানীকে। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় রানীকে। খুন না করেও অন্যের দোষ নিজের কাঁধে নেয় রানী। এমন নানা নাটকীয়তার মধ্যে এগিয়ে যায় নাটকটি।

সর্বশেষ খবর