রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিলেট

ওয়াকওয়ে নিয়ে বিপাকে সিসিক

গাছ কাটতে পরিবেশবাদীদের আপত্তি - গার্ডওয়াল করতে না পারায় সড়কে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় ছড়ার উভয় পাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করছে সিটি করপোরেশন। প্রথম ধাপে ওয়াকওয়ের একাংশের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্মাণ কাজের জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় কয়েকটি গাছ কাটার। গাছ কাটার অনুমতিও মিলেছে বনবিভাগ থেকে। কিন্তু বেঁকে বসেছেন পরিবেশবাদীরা। তাদের আপত্তির মুখে গাছ কাটতে না পারায় ছড়ায় গার্ডওয়াল নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বর্ষা মৌসুমে সাগরদিঘীরপাড় সড়ক ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানায়, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই ধাপে নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকায় মালনীছড়ার উভয় পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ছড়ার পাড়ের গাছ অক্ষত রেখে ওয়াকওয়ের নকশাও তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশ থেকে মণিপুরী শ্মশান পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ফুট দীর্ঘ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়। ছড়ার পাড়ের ২৩টি গাছ অক্ষত রেখে নির্মাণ করা হয় ওয়াকওয়ে। দ্বিতীয় দফায় মণিপুরী শ্মশান থেকে বর্ণমালা পয়েন্ট পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে গিয়ে ৩৮টি গাছ রক্ষা করা গেলেও কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ৮টি গাছ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনকে ২২ জানুয়ারি ওই ৮টি গাছ কাটার অনুমতি দেয় বনবিভাগ। কিন্তু গাছগুলো কাটতে আপত্তি তোলেন পরিবেশবাদীরা।

এদিকে বর্ষা শুরু হওয়ায় ছড়ায় বাড়তে শুরু করেছে পানি। ইতোমধ্যে সাগরদিঘীরপাড় সড়কের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গার্ডওয়াল নির্মাণ না হওয়ায় ভরা বর্ষায় সড়কটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

গাছ কাটায় আপত্তি প্রসঙ্গে পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তানের প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল কবীর বলেন, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন হলে গাছ কাটতে হয়, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সিসিক অপরিকল্পিতভাবে এই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করছে। উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাড়া এভাবে প্রকল্প গ্রহণ করায় উভয় সংকট তৈরি হয়েছে। এখন এর সমাধান সিসিককেই করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, আমরা গাছ কাটতে চাই না বলেই অনেকগুলো গাছ অক্ষত রেখেই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করছি। কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মাঝে মধ্যে গাছ কাটতে বাধ্য হই। এই ওয়াকওয়েটি নির্মাণের জন্য আমাদেরকে ৮টি গাছ কাটতে হচ্ছে। বনবিভাগ অনুমতি দিলেও পরিবেশবাদীদের আপত্তির কারণে আমরা গাছ কাটতে পারছি না। এ জন্য ওয়াকওয়ের কাজও সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। ফলে ছড়ার গার্ডওয়ালও নির্মাণ করা যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর