সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিআরটিএ

মে’র পর ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান

► ৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৩১ মে এর পর রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। গতকাল বিআরটিএ ভবনে ‘রোজার ঈদের আগে পরে সড়ক দুর্ঘটনা, বিআরটিএ কর্তৃক ব্যবস্থা ও সড়কে সার্বিক নিরাপত্তা’ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাস মালিকদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক হয়েছে। তাদের বলে দেওয়া হয়েছে মে মাসের মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও রং চটা গাড়ি ঠিক করতে। না হয় ৩১ মে’র পর থেকে রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিআরটিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ দিনে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৬২ জন। গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হচ্ছেন। এদিকে শনিবার ঈদের আগেপরে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হওয়ার পরিসংখ্যানকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির এ তথ্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বিআরটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সারা দেশে ২ হাজার ১১৩টি মামলায় ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে ৫১টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এ ছাড়া ওভারস্পিড, ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ যান ও আনফিট গাড়িসহ অন্যান্য বিষয়ে ৮ হাজার ৫৯২টি অভিযোগ দায়ের করেছে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, ফরিদপুর ও ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা দুটি জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, এআরআই ও বিআরটিএর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। যৌথ তদন্ত শেষে সংস্থাটি জানায়, এ দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মোটরযানগুলোর কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। ফলে তাদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়কে যে আইন আছে সেটি না মানলে দুর্ঘটনা ঘটবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএ পরিচালক (প্রশাসন) মো. আজিজুল ইসলাম, পরিচালক (অডিট ও আইন) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ  মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর