সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঈদে ঢাকার ফাঁকা বাসায় চুরি করত চক্রটি

► চোরাই সোনা গলিয়ে বাজারজাতকারী ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সতর্কতার পরও এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার বেশ কয়েকটি বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে চুরি করে পার পায়নি তারা। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চোরাই সোনা গলিয়ে বাজারজাতকারী ব্যবসায়ীসহ ওই চোর চক্রের সাত সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে তিন ভরি গলানো সোনা, একটি সোনার আংটি, একটি সোনার নাকফুল, তিনটি রূপার পায়েল ও একটি রিয়েলমি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে মিরাজ হোসেন, মামুন, সায়মুন, অমিত হাসান ইয়াসিন, হাসিনা বেগম, জামিলা খাতুন হ্যাপি ও ব্যবসায়ী বরুন। এর মধ্যে প্রথম চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪৭টি মামলা রয়েছে। আর শুধু মামুনের বিরুদ্ধে রয়েছে ২২টি মামলা। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাহবুব-উজ-জামান। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর ঈদের মধ্যে ফাঁকা ঢাকায় চুরি করার জন্য তারা পরিকল্পনা করে ইসলামবাগের বাসাটিতে চুরি করে। তিনি জানান, রাজধানীর পূর্ব ইসলামবাগের বাসিন্দা মো. হাফিজুল ইসলাম পরিবার নিয়ে থাকতেন এক ভাড়া বাসায়। গত ৯ এপ্রিল সপরিবারে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যান গ্রামের বাড়ি। গত ১২ এপ্রিল ঢাকায় ফিরে বাসায় প্রবেশ করতে গিয়ে দেখেন বাসার মূল গেটের হেজবল্টের লক ভাঙা। তিনি বাড়ির মালিককে খবর দেন এবং তাকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন। দেখেন সব কক্ষের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বেডরুমে গিয়ে দেখেন স্টিলের আলমারি ভাঙা। সেখান থেকে খোয়া গেছে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, প্রায় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, ৪০০ ডলার ও একটি স্মার্টফোন।

এতে ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির চকবাজার থানায় একটি চুরির মামলা করেন। মামলার পর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরদের শনাক্ত করে পুলিশ। পরে গত শনিবার রাজধানীর ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, ইসলামবাগের বাসাটিতে চুরি করার আগেও তারা কেরানীগঞ্জের দুটি বাসায় চুরি করেছে। চুরি করার পর চক্রটি তাঁতীবাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী বরুণের কাছে চোরাই স্বর্ণ বিক্রি করেন। বরুণ এসব চোরাই স্বর্ণ গলিয়ে ফেলেন। পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতার জামিলা খাতুন হ্যাপির বাসাটি হচ্ছে এই চোর চক্রের গোপন আস্তানা। সেখানে বসে চক্রটি চুরি করার পরিকল্পনা করে। রেকির পর বাসা নির্ধারণ করে সেই বাসায় চুরি করে। চুরির পর চক্রটির সদস্যরা হ্যাপির বাসায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর