প্রচন্ড দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর মধ্যে হাঁসফাঁস উঠেছে। রংপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোও একটু শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাণিকুলের শরীর ঠিক রাখতে ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়াচ্ছে। গতকাল দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সারা দেশের ওপর দিয়ে তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের পাশাপাশি জীবজগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির প্রায় ২৫৪ প্রাণী রয়েছে। যেসব প্রাণী রয়েছে সেগুলো হলো- সিংহ ২টি, জলহস্তি ৩টি, ময়ূর ৮টি, হরিণ ৫৯টি, অজগর সাপ ২টি, ইমু ৩টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ১টি, গাধা ৩টি, ঘোড়া ২টি ও ভাল্লুক ১টি উল্লেখযোগ্য। এসব প্রাণীগুলোর মধ্যে নিঃসঙ্গ অবস্থায় রয়েছে ভাল্লুক, হনুমান, কেশওয়ারি। কিছুদিন আগে নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকা উটপাখিটি মারা গেছে। দীর্ঘদিন থেকে কর্তৃপক্ষ সঙ্গিহীন প্রাণীগুলোর সঙ্গি আনার জন্য ঢাকায় আবেদন করলেও এখনো অনুমোদন হয়নি। এ ছাড়া চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী শাওন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নগরীর হনুমানতলায় ৮৯ সালে গড়ে তোলেন রংপুর চিড়িয়াখানাটি। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটি। প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়। প্রচন্ড গরমে চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, গরমের কারণে চিড়িয়াখানার পশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। রংপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আম্বর আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষের যেমন অস্বস্তি হচ্ছে। তেমনি প্রাণীগুলোর অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রাণীদের ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়ানো হচ্ছে।