সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফরিদপুরে দুই নির্মাণ শ্রমিককে হত্যায় গণসংহতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরের প্রতিমায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। তারা বলেন, সেখানে দুজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও তিন-চারজন শ্রমিক গুরুতর আহত এবং দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দেশে যে অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু সংস্কৃতি চালু হয়েছে- এ ঘটনা তারই ফলাফল। যখন রাষ্ট্র নিজেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকা  করে এবং তাকে প্রশ্রয় দেয় তখন জনগণের ভিতরেও এ ধরনের পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি চালু হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এ শ্রমিকরা আগুন দেওয়ার ঘটনায় আদৌ জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। এমনকি যদি প্রমাণ থাকতেও তবুও তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার কারও নেই। এরকম পরিস্থিতিতে তাদের আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই হলো নাগরিকের কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো ঘটনার বিচার এবং দোষীদের আইনিভাবে শাস্তি দেওয়ার নজির নেই। বরং এগুলোকে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে রাজনীতির হাতিয়ার করা হয়। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর এগুলোর কোনোটিরই বিচার সম্পন্ন হয়নি। এর আগে ইসলাম ধর্ম অবমাননার কথা বলে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরি করা হয়েছে। সেসব ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা এবং সরকারি দলের অংশগ্রহণের নজির আছে। তারা আরও বলেন, এখন হিন্দুধর্ম অবমাননার কথা বলে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্র ও সরকারের। তারা শুধু সেটা পালনে ব্যর্থই হয়নি বরং সেগুলোতে নানাভাবে ইন্ধন জুগিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে তাকে ব্যবহার করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর