মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রকল্প পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাভারে হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সাভারে ‘আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফাইলারিয়া হাসপাতাল স্থাপন’ প্রকল্পে অনিয়ম ও প্রকল্পের পরিচালক ও ঠিকাদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। রবিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক রাশেদুল ইসলাম মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল দুদক সূত্র জানায়, মামলার আসামিরা হলেন- ঠিকাদার ও রাকাব ট্রেড করপোরেশনের মালিক হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার, প্রকল্প পরিচালক ও সাবেক ডেপুটি চিফ এ এন এম রোকনুদ্দিন, প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশীদ, আইএসিআইবির প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল হক, সমাজসেবা অধিদফতরের সাবেক উপপরিচালক সাব্বির ইমাম, সারা ট্রেড করপোরেশন ও উপকূল ট্রেডার্সের মালিক হেলালউদ্দিন, জীবন আফরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী বোরহান সাদেক মামুন, আইএসিআইবির সাবেক ম্যানেজার (অর্থ ও হিসাব) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব খাজা আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ এবং মেসার্স তাহিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জহিরুল হায়দার।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় সাভারের ফাইলেরিয়া হাসপাতাল নির্মাণকাজে এ এন এম রোকনুদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশীদ, নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব সাব্বির ইমাম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগসাজশে আসামি হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাসিমা আক্তারের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাকাব ট্রেড করপোরেশন অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কার্যাদেশ নেয়। কাজ পেতে আসামিরা মিথ্যা ও ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, ভুয়া ব্যাংক সলভেন্সি সনদপত্র, ভুয়া পে-অর্ডার, ভুয়া কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্র দাখিল করেছিলেন। টেন্ডারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ না করে, অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত না করে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর না করে আসামিরা সমুদয় বিল উত্তোলন করেন। যার মধ্যে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং অবৈধভাবে আরও ৫টি আইটেমের মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ নিয়ে হাসপাতালে কোনো ধরনের মালামাল সরবরাহ না দিয়ে ১ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকার বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে আসামিরা মোট ৪ কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর