বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মূল্যস্ফীতি কমাতে পণ্যের সরবরাহ ও মজুত বাড়াতে হবে : ফরাসউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চিফ অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তার আগে মজুত বাড়াতে হবে। শুধু সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ পরামর্শ দেন তিনি। আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিল সদস্য আরিফ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হেলালী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ সাহাদাত হোসাইন সিদ্দিক, মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মুনির হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. মাসরুর রিয়াজ প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফরাস উদ্দিন বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহারের কথা বলা হয়। সুদহার হলো একটি মাত্র ইনস্ট্রুমেন্ট। মূল্যস্ফীতি কমাতে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে যার এখন মোক্ষম সময়। চমৎকার বোরো ফসল হচ্ছে। কোনো সময় আমরা সংরক্ষণ করতে পারি না। কারণ মধ্যস্বত্বভোগী। যারা চুয়াত্তরে দুর্ভিক্ষ করেছিল, তারা সব সময় তৎপর, এখনো তৎপর। সরকারের কাছে নিবেদন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আড়াইগুণ মজুত বাড়াতে হবে। তিন-চার মাস ধরে যদি খোলা বাজারে অপারেশন চালানো যায়, চাল-ডাল-পণ্য বিক্রি করা যায় এবং বাজার মনিটরিং করা যায়, তাহলে অবশ্যই মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা, ফাস্ট-ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমে আমাদের স্মার্ট অর্থনীতি গড়া দরকার। আর স্মার্ট অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন একটি স্মার্ট বাজেট। ব্যবসায়ীরা অনেক পরিশ্রম করে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ভোগ্যপণ্যসহ সবকিছু সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ীরা কোন পর্যায়ে আছেন, তা দেখা দরকার। আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের ব্যর্থতা আমাদের রাজস্ব। এটাই আমাদের ভিতকে নাড়া দিচ্ছে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হলে মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা সরকারের কাছে কোনো প্রণোদনা চাই না। আমরা চাই লজিস্টিক পলিসি। এর প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর