শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস আজ

তৃণমূলে সংকুচিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা

♦ প্রাথমিক চিকিৎসার ৩০ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হলেও এখন দেওয়া হচ্ছে ২৬ প্রকার ♦ চট্টগ্রামে মোট কমিউনিটি ক্লিনিক আছে ৫৩৭টি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

তৃণমূলে সংকুচিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ৩০ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হতো। কিন্তু এখন দেওয়া হচ্ছে ২৬ প্রকারের। তা ছাড়া ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবার প্রথম কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকে সংকুচিত করা হচ্ছে। এখানে দায়িত্ব পালন করেন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)।

আজ ২৪তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ-স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক’। তবে আজ শুক্রবার হওয়ায় আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করা হবে। বর্তমানে চট্টগ্রামে মোট কমিউনিটি ক্লিনিক আছে ৫৩৭টি। এর মধ্যে ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদানকারী সিএইচসিপির পদ শূন্য। প্রতিটিতে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তাছাড়া বর্তমানে আরও ৭০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের প্রস্তাব আছে।

অভিযোগ আছে, কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেন সিএইচসিপি। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তাদের কোনো পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি হয় না। যে বেতন দিয়ে চাকরি শুরু, সেই বেতনেই থাকতে হচ্ছে। প্রকল্পের অধীন হওয়ায় মাঝে মাঝে বেতনও অনিয়মিত। নেই অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া, ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সপ্তাহে তিন দিন স্বাস্থ্য সহকারী এবং তিন দিন পরিবারকল্যাণ সহকারী সিএইচসিপিকে সহায়তা করার কথা থাকলেও তাদের দেখা মেলা কঠিন।

বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ নঈমুদ্দিন বলেন, তৃণমূলে আমরা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি। অথচ এখনো আমরা প্রকল্পের অধীন। ফলে আমাদের নেই ইনক্রিমেন্ট, নেই কোনো সুবিধা। যে বেতন দিয়ে চাকরি শুরু করা হয় দীর্ঘদিন পরও সেই বেতনেই থাকতে হচ্ছে। তবে আমাদের চাকরির বিষয়টি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

জানা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, পেট কামড়ানো, ছোট আকারের কাটা-ছেঁড়াসহ এমন সাধারণ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসব রোগের জন্য ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু ওষুদের সংখ্যা কমে সরবরাহ করা হচ্ছে এখন ২৬টা। তাছাড়া, ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করা হয়। আগে অ্যামোক্সাসিলিন, কোট্রাইমোক্সাজল ও মেট্রোনিডাজল গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ করা হতো।

 

সর্বশেষ খবর