শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই হাজার কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মসুর ডাল, সার ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার আটটি প্রস্তাবের বিপরীতে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৬ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মসুর ডাল, ৯৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৮৭৬ টাকার এলএনজি এবং ৯২৭ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সার কেনা হবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে ৬ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তা) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নাবিল নাবা ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছে থেকে এসব মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০২ টাকা ৯০ পয়সা। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব এলএনজি আমদানি করা হবে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি হবে ৪৬৯ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ টাকায়। এতে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য ধরা হয়েছে ১০.৮৬৩৭ মার্কিন ডলার। আগের ক্রয়মূল্য ছিল ৯.৪৯৬৫ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৪৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয়ে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য ধরা হয়েছে ১০.৭৩৩৭ মার্কিন ডলার। আগের ক্রয়মূল্য ছিল ৯.৬৮০০ মার্কিন ডলার।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি পৃথক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব এবং মরক্কো থেকে ৯২৭ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চীন ও সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি, মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের মা’আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৫৪ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ৫৮১ মার্কিন ডলার। মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি হবে ১২৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৭৯.৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৮৬ মার্কিন ডলার? রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’ এর কাছ থেকে ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় আমদানি হবে ৩০ হাজার টন এমওপি সার। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া, চীনের বেনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেডের কাছ থেকে ৮০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫২৬.২৫ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।

 

সর্বশেষ খবর