শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : সিলেট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

প্রথম ধাপে সিলেটের চার জেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া নেতাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেবল বিশ্বনাথে বিএনপির কয়েকজন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল অবশ্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর জামায়াতের সব প্রার্থী আগেই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাদের মনোনয়নপত্র। ফলে সিলেটে প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারাই। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিলেটের চার উপজেলায় ২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১৭ জনই আওয়ামী লীগের। সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ এবার প্রার্থী হননি। এ উপজেলায় ছয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর চারজনই আওয়ামী লীগের। চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল ইসলাম টুনু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী। বাকি দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন- ডা. খলিলুর রহমান ও আহাদ মিয়া।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া তিন প্রার্থীই ক্ষমতাসীন দলের। বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান চৌধুরী জাবেদ ও ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ছয় প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই আওয়ামী লীগ নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বদরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, তেতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মইনুল ইসলাম, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ চেয়ারম্যান পদে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

 এ উপজেলায় স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নাট্যাভিনেতা সাহেদ মোশারফ ওরফে কটাই মিয়া। বিশ্বনাথে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন। এর মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগের ও চারজন বিএনপির। বিএনপি নেতাদের গতকাল দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলাটির বর্তমান চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নুনু মিয়া এবার প্রার্থী হননি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছয়জন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকদ্দুছ আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন চেরাগ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শমসাদুর রহমান রাহিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক। আর বিএনপির যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন।

সর্বশেষ খবর