শিরোনাম
বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

‘ওষুধের গুণগত মান হ্রাসের শঙ্কা’

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা বলেছেন, অতিরিক্ত গরমে ওষুধের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফার্মেসিতে তাপমাত্রা যাচাইয়ের জন্য থার্মোমিটার রাখতে হবে। ওষুধ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোড়কে নির্দেশিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রেজিস্টার সংরক্ষণ করে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করতে হবে। না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হবে। নকল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রতিরোধে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সভাটি গতকাল লাকসাম সদরের একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র প্রফেসর আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা, ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভূইয়া, ঔষধ পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ, জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ, সহসভাপতি মোহাম্মদ ফয়েজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন লাকসাম উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শাখাওয়াত।

সভায় ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভূইয়া বলেন, যেসব ওষুধের মোড়কে ডিএআর/এমএ নম্বর নেই সেসব অনিবন্ধিত। এ ধরনের ওষুধ সংরক্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নকল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে হসপিটাল ও ফার্মেসিগুলো পাইকারিভাবে ওষুধ যেন কোম্পানি থেকে সরাসরি বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিপো থেকে সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে পাইকারি ওষুধ কেনার রসিদ বা ইনভয়েস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং ইনভয়েসে ওষুধের ব্যাচ নম্বর ও বিক্রেতার সুনির্দিষ্ট পরিচয়ের উল্লেখ থাকা আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর