শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

টানা রোদ কৃষকের জন্য আশীর্বাদ!

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশব্যাপী বইছে তীব্র গরম। গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেক স্থানে ইসতিসকার নামাজসহ দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের হাওরের কৃষকরা টানা রোদকে আশীর্বাদ মনে করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকরাও বৃষ্টি চান না। কারণ, মাঠে সোনালি ফসল। সেই ফসল ঘরে তোলার পর বৃষ্টি না এলেই ভালো হয় বলে মনে করছেন তারা। কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

কিশোরগঞ্জ : এখনকার আবহাওয়া ভাটি অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী বলে মনে করছেন কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার আখড়াহাটি গ্রামের কৃষক তাপস রায়। তিনি বলেন, রোদের কারণে আমরা প্রতিদিন ধান কেটে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারছি। এই আবহাওয়াটা ভাটি অঞ্চলের কৃষকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

ইটনা মধ্যগ্রামের কৃষক শাহনূর বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে রোদ থাকায় সহজেই ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হাওরের বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবদুস সাত্তার জানান, ২ মে পর্যন্ত হাওর অঞ্চলে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। উজান এলাকায় কাটা হয়েছে ৩০ ভাগ। টানা রোদ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : এ মুহূর্তে বৃষ্টি চাইছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধান চাষিরা। আরও সপ্তাহ-১০ দিন বৃষ্টিহীন থাকলে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে সোনালি ফসল। তাই এমন দাবদাহে কষ্টের বদলে এক ধরনের স্বস্তি আছে তাদের মাঝে।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৯১ হেক্টর বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন হাওড়াঞ্চলসহ উজানে থাকা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই মাঠে ধান কাটছেন কৃষক। আর কিষানিরা কেটে আনা ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর