শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাই কোর্টে স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনের ঘোষিত উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। এক সম্পূরক নির্বাচনি আবেদন শুনানির পর গতকাল বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৫ জুন ভোটের তারিখ রেখে গত ২৩ এপ্রিল এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৫ এপ্রিল এ তফসিল স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল।

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্ট উপনির্বাচনটি ২১ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। আদেশটি কমিশনকে জানিয়েছি। নির্দেশনা পেলে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন ছয়জন। তারা হলেন- তৃণমূল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মজুমদার (সোনালি আঁশ), জাতীয় পার্টির মনিকা আলম (লাঙল), আওয়ামী লীগের আবদুল হাই (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিচুর রহমান (আম), স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক) ও মুনিয়া আফরিন (ফুলকপি)।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পরদিন ঝিনাইদ-১ আসনে মোট ভোটের ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ পেয়েছেন উল্লেখ করে আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে আবদুল হাইয়ের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৯৪ হাজার ৩৭৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম দুলালের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৮০ হাজার ৫৪৭। ১৩ হাজার ৮৩২ ভোট বেশি পাওয়ায় আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে কারসাজি হয়েছে অভিযোগ তুলে পর দিন ফলাফল বাতিল চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন নজরুল ইসলাম দুলাল। কাজ না হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। কিন্তু কমিশন আবেদন নথিভুক্ত করে রাখলেও তা নিষ্পত্তি না করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৪৯ ধারায় তিনি হাই কোর্টে নির্বাচনি আবেদন করেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেই আবেদন শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ কারণ দর্শানোর নোটিসসহ আদেশ দেন। অন্তর্বর্তী আদেশে আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন -ইসির গেজেট দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন আবদুল হাই। শুনানির পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে শপথ নিয়ে সংসদে বসেন আবদুল হাই।

আবেদনকারীর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের ফলাফলের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে আমার মক্কেল (নজরুল ইসলাম দুলাল) যে নির্বাচনি আবেদন করেছিলেন, সে আবেদনে প্রয়াত আবদুল হাই একজন বিবাদী। তখন হাই কোর্ট যে নোটিস জারি করেছিলেন সে নোটিসটি হাই কোর্টে বিচারাধীন।

 

সর্বশেষ খবর