বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বাড়ছে

পরিস্থিতি উন্নয়নে নানা কর্মসূচি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে। বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার ঘটেছে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। তবে এ ব্যাপারে রেললাইন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে সতর্ক এবং সচেতন করতে নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে নতুন করে রেলপথে এক জোড়া এবং ঈদ উপলক্ষে চলাচল করছে এক জোড়া রেল। নতুন রেললাইন হলেই সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেকের মধ্যে একটা কৌতূহল কাজ করে। তাদের প্রশ্ন ছোট একটা লাইন দিয়ে কীভাবে রেল চলাচল করে। এ সময় অনেকেই ট্রেনের দিকে পাথরও নিক্ষেপ করে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথে রেল চলাচলের পর পাথর নিক্ষেপের অনেক ঘটনা ঘটে। তবে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী ও চকরিয়া এলাকাটি নতুন করে পাথর নিক্ষেপপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, চলন্ত রেলে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা অনেক পুরনো। তবে এখন পুরাতন রেললাইনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কমেছে। নতুন হওয়া লাইনগুলোতে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে আমরা রেললাইন সংশ্লিষ্ট এলাকার মসজিদের জুমার দিন সবাইকে সচেতন করতে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন সংশ্লিষ্ট স্থানীয়দের সচেতন করতে প্রকল্পের অধীন কিছু কর্মসূচি আছে। সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে নতুন ট্রেন চালুর পর ওই অংশের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী, চকরিয়াসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সময়ই পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাথর নিক্ষেপ করার মতো ঘটনায় সবচেয়ে বেশি জড়িত রেললাইন সংলগ্ন বস্তি এলাকার শিশু-কিশোররা। তবে অনেক ক্ষেত্রে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় অপরাধীদের সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়। রেলওয়ে পুলিশ পাথর ছুড়ে মারার এসব স্থান চিহ্নিত করতে পারলেও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতার অভাব, যাত্রীদের অসচেতনতাসহ নানা কারণে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না বলে মনে করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

 

সর্বশেষ খবর