শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

আজ আইইবির কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-আইইবির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে হাঁটছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইইবির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ সংবাদ সম্মেলনে আইইবির মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান। আজ সকাল ১০টায় আইইবির ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এ কনভেনশনের বিস্তারিত কর্মসূচির বিবরণ দেন এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু।

 সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত কনভেনশনে সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, চারটি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধনা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ, কেন্দ্র এবং উপকেন্দ্রের নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, আমরা উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি বিভিন্ন বড় বড় প্রকৌশল ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্পে কারিগরি জ্ঞানহীন একটি বিশেষ ক্যাডারের চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের প্রকলপ পরিচালক (পিডি) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। কারিগরি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষা ও জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগের কারণে প্রকল্পের গতি ব্যাহত হবে। কারিগরি জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা জাতীয় স্বার্থে অপরিহার্য।

সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু সাংবাদিকদের সামনে আইইবির পক্ষে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- প্রকৌশল সংস্থাসমূহে শীর্ষ পদগুলোতে অপ্রকৌশলী ব্যক্তিদের স্থলে প্রকৌশলীদের পদায়ন করা। প্রকৌশলীদের পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকৌশল উইং সৃষ্টি করা। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’-এ প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত মর্যাদা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করা।  কারিগরি জ্ঞানহীন বা প্রকৌশল কাজে চর্চাবিহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা। ‘এলজিইডি’, ‘টেক্সটাইল’ ‘কৃষি কৌশল’ এবং ‘আইসিটি’ ক্যাডার বাস্তবায়ন করা জরুরি এবং ২০০৬ সাল থেকে বিসিএস টেলিকম ক্যাডারের বন্ধ করা নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ‘সিনিয়র সার্ভিস পুল’ অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্য থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া। পলিটেকনিক শিক্ষকদের বর্তমান চাকরি কাঠামো পরিবর্তন করা। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) এর নিয়ন্ত্রণাধীন সব বিদ্যুৎ সেক্টরকে এক ছাতার নিচে আনা। এ সময় উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি জেলার ডিসি কার্যালয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী এবং প্রতিটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক সিনিয়র প্রকৌশলী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জুনিয়র কর্মকর্তাদের দিয়ে তাদের কাজ পরিদর্শন করা সিনিয়র প্রকৌশলীদের জন্য অবমাননাকর। সুতরাং ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর