রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
বম কাউন্সিল

কেএনএফকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ফেরত দিয়ে সংলাপের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এবং তাদের সামরিক শাখা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’-এর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বম সোশ্যাল কাউন্সিল এবং অন্যান্য বম সামাজিক সংগঠন।

গত শুক্রবার সমাজমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়। তবে এ আহ্বানে সাধারণ বমদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেলেও ভিডিওবার্তা প্রকাশের দুই দিন পরও কেএনএফ বা কেএনএ’র পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বম ভাষায় রেকর্ড করা ভিডিওবার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভারেন্ট লালজার লম বম বলেন, ‘অস্ত্র দিয়ে কখনো সমস্যার সমাধান হয় না। সে কারণে সশস্ত্র জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি এবং অস্ত্র লুটের ঘটনার পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এ অঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এ অভিযানের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও বান্দরবান সদর উপজেলায় বসবাসকারী বম সম্প্রদায় সীমাহীন কষ্টে পড়েছে।’

ভিডিওবার্তায় রেভারেন্ট লালজার লম বম বলেন, ‘কেএনএফের উত্থাপিত দাবিদাওয়া সমাধানের লক্ষ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি শান্তি সংলাপ চলমান থাকা অবস্থায় ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা, ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনা চলমান শান্তি উদ্যোগ থামিয়ে দিয়েছে। কেএনএফের এমন সিদ্ধান্ত শুধু তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, পুরো বম জনজাতির সুনাম ও মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে।’ এমন অবস্থায় লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো অবিলম্বে সরকারকে ফেরত দিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আবারও সংলাপের পথ প্রশস্ত করার জন্য তিনি আহ্বান জানান। ভিডিওবার্তায় বলা হয়, ‘অস্ত্র ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ অভিযান থামার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় নিপতিত হওয়াকে মেনে নেওয়া যায় না।

অস্ত্র ফেরত দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে বম জনগোষ্ঠীর স্বীকৃত ও তরুণ শ্রেণি কেএনএফদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’

 

সর্বশেষ খবর