রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

একজনের দুর্নীতির কারণে বেহাল ভোমরা স্থলবন্দর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

দুর্নীতির কারণে পদোন্নতি আটকে গেছে। তারপরও বেড়েছে দুর্নীতির মাত্রা। বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ভোমরা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা। এই দুর্নীতির একটি হিস্সা চলে যাচ্ছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দুই নেতার পকেটে। যার কারণে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি এবং রপ্তানিকারকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। একাধিক আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে দুর্নীতির এই চিত্র পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভোমরা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক বলেন, ‘একটি ব্যবসায়ী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ১৯৩ কোটি টাকা রেভিনিউ লিকেজ হতো।’ অন্যদিকে ভোমরা বন্দরের জিরো পয়েন্টে আমদানি করা পণ্যবাহী ভারতীয় প্রতিটি ট্রাক থেকে ২০০ রুপি করে চাঁদা আদায় করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মাকছুদ ও এজাজ আহম্মেদ স্বপন। প্রতিদিন ২৫০-৩০০ ট্রাক থেকে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, ‘ভোমরা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনারের কারণে ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ঘুষ না দিলে কোনো কাজ হয় না। ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

সর্বশেষ খবর