সারা দেশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে জেলায় জেলায় শিগগিরই কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। সেই লক্ষ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের দলনেতা করে ২৮টি টিমও গঠন করা হয়েছে। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে জরুরি সভায় টিম গঠন হয়। এদিকে টিম গঠনের পর ক্ষোভ জানিয়ে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা অভিযোগ করেন। টিম গঠনের ক্ষেত্রে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। সভাপতি হাসান জাফির তুহিনকে ১৪টি সাংগঠনিক জেলার টিম লিডার ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলকে ১৫টি সাংগঠনিক জেলার টিম লিডার করা হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে সভাপতি ও সেক্রেটারির পছন্দের জুনিয়র নেতাদের টিম লিডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদককে বাদ দিয়ে ১১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদককে টিম লিডার করা হয়েছে।
দায়িত্ব দেওয়া হয়নি সিনিয়র সহসভাপতিকেও।
কৃষক দলের একজন যুগ্ম সম্পাদক বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গত আন্দোলনে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নেননি দায়িত্বশীল নেতারা। এতে দলের হাইকমান্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিগগিরই কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে কারণে জেলাওয়ারি কর্মিসভা করার জন্য তড়িঘড়ি করে টিম গঠন করেছেন। এতে সাংগঠনিক রিপোর্ট নিরপেক্ষ হবে না। এ বিষয়ে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের অবস্থা জানা, তাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার মাধ্যমে কর্মিসভা হবে। এটা কোনো টিম না। সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক মুভমেন্ট করলে সেখানকার চিত্র অন্য রকম হয়। কৃষক দলের সবকিছুই স্বচ্ছতার সঙ্গে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়। অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।