সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৃষ্টিভেজা মিক্সিং দিয়ে কার্পেটিং

খুলনা উপকূলে সড়ক নির্মাণ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার উপকূলীয় কয়রায় প্রায় দুই কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কে নিম্নমানের কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়া মিক্সিং দিয়ে রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি কাজ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কয়রা সদর ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সোহরাব আলী জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কয়রায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মধ্যে কয়রার কালিপদ মোড় থেকে জিয়াদের মোড় পর্যন্ত দুই কিমি. সড়কে ঢালাই দিতে আঠারোমাইল প্লান্ট থেকে ঠিকাদার ‘মা ইঞ্জিনিয়ারিং’ মিক্সিং মালামাল নিয়ে আসে। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে তাদের ঢালাই দিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর সাতটি ট্রাকে আনা মিক্সিং মালামালের কিছু অংশ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। বাকি মিক্সিং বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। অভিযোগ অনুযায়ী, পরবর্তীতে ওই ভেজা মিক্সিং দিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। এই মিক্সিংয়ের অনেকটাই শক্ত এবং নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

জানা গেছে, পরদিন লোকজন এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার ‘চাঁদার দাবিতে হয়রানির অভিযোগে’ ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিভিন্ন সূত্র জানায়, আঠারোমাইল প্লান্ট থেকে কয়রার ওই স্থানে মিক্সিং মালামাল পৌঁছাতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা। এরপর আরও চার ঘণ্টা বৃষ্টির কারণে কার্পেটিং করা যায়নি। কিছু মিক্সিং বৃষ্টির পানিতে ভিজেছে। ফলে কার্পেটিংয়ের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ভিআরআরপি প্রজেক্টের আওতায় সড়কটির ২৫ মিলিমিটার ডেন্স কার্পেটিং কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আফজাল হোসেন। গতকাল কার্পেটিংয়ের কাজ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ দারুল হুদা দাবি করেন, বৃষ্টির কারণে দুই-তিন ঘণ্টা কাজটা করতে পারেনি ঠিকাদার। ফলে কাজ শেষ করতে রাত হয়ে যায়। কাজটি না করলে মালামাল পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেত। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে থাকায় কিছু মিক্সিং মালামাল শক্ত হয়ে যায়। ওই সব মালামাল স্থানীয়দের সামনেই ফেলে দেওয়া হয়। বাকি মালামালের কোয়ালিটি নিশ্চিত করে কাজ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর