মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

চলছে কোরবানি হাটের প্রস্তুতি

♦ দেশি গরুর প্রতি আগ্রহ ক্রেতাদের ♦ কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ৩০ লাখ

হাসান ইমন

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চলছে হাটের প্রস্তুতি। দুই সিটি করপোরেশনের ২০টি স্থানে এবার অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। চলছে হাটের ইজারা কার্যক্রম। এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ। পর্যাপ্ত পশু থাকায় দেশি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকবে বলে জানান খামারিরা।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে বসবে ১১টি। এগুলোর মধ্যে মেরাদিয়া বাজার ও ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজসংলগ্ন মাঠের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা হাটগুলোর পুনরায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি সংস্থাটির স্থায়ী সারুলিয়া হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯টি অস্থায়ীসহ মোট ১০টি হাট বসবে। এর মধ্যে স্থায়ী গাবতলী হাটটি কিছুদিন আগেই ২২ কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাকি অস্থায়ী ৯টি হাট হিসেবে ভাটারা সুতিভোলা খালসংলগ্ন খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগরের ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন তৎসংলগ্ন খালি জায়গা; দক্ষিণখানের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা-সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর-সংলগ্ন বউবাজার এলাকার খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকায় ৪০ ফুট সড়ক-সংলগ্ন রাজধানী হাউজিং ও বছিলা গার্ডেন সিটির খালি জায়গা, মিরপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর সেকশনের (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়ার রহমাননগর আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের খালি জায়গা এবং খিলক্ষেত মস্তুল চেকপোস্ট-সংলগ্ন খালি জায়গায় হাটগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ পশু মজুত রয়েছে।

এর মধ্যে কোরবানি হতে পারে ১ কোটি ৫ লাখের মতো। প্রয়োজনের তুলনায় মজুত বেশি রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন নেই। খামারিরা জানান, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের খামারিরা পর্যাপ্ত পশু পালন করেছেন। এবার চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত রয়েছে। বিদেশ থেকে পশু আমদানি করতে হবে না।

নন্দীপাড়া আবদুল মালেক অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. ফেরদৌস বলেন, আমার খামারে শতাধিক দেশি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গরু আছে। একই সঙ্গে দেশি ভালো জাতের খাসি রয়েছে। গত বছরও এ পরিমাণ গরু ও খাসি ছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগই খামারে বিক্রি করেছি। এবারও খামারে বিক্রি করার আশা। ক্রেতাদের আগ্রহ দেশি গরু ও খাসির দিকে। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ বলেন, এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ। আর আমাদের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ। সুতরাং পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন নেই। আর দেশের মানুষের কোরবানিতে দেশি পশুতেই আগ্রহ। মানুষ বিদেশি গরুর দিকে আগ্রহ নেই। কারণ দেশি গরু সুন্দর ও স্মার্ট। আর কোরবানিতে এসব গরুই পছন্দ ক্রেতাদের। আর বিদেশি গরু যেন আমদানি না হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরা চিঠি দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর