বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবারও অস্থির ডিমের বাজার

সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়েছে ৩০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও অস্থির ডিমের বাজার

আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ছে। শুধু রাজধানীতেই সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়েছে ৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, গরমের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পড়ছে দামে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর খিলক্ষেত, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে ডজনে দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের শেষেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

অন্যদিকে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিল ৩৫০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

এর আগে ডিমের অস্বাভাবিক দামের লাগাম টানতে গত বছর আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। এতে নিয়ন্ত্রণে আসে বাজার। কৃষি বিপণন অধিদফতর গত ১৫ মার্চ যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার দর অনুযায়ী, প্রতি হালি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। কিন্তু তাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দামেও সিন্ডিকেটের কারণে লাভ হচ্ছে না। ক্রেতারা জানান, প্রতিদিনই ডিমের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখনই দামের লাগাম টেনে না ধরলে সামনে ডিম কেনা অসম্ভব হয়ে উঠবে। বাজার মনিটরিং কমিটি হয় শুধু কাগজেই।

ফলে ইচ্ছামতো দাম বেঁধে দেয় সিন্ডিকেট। আর সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমঝোতা রয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।

 

 

সর্বশেষ খবর