বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতা বাড়াতে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের ২৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনসহ ১৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি পৃথক প্রস্তাবে ৫টি লটে ২৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তিনি জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কানাডা, কাতার, সৌদি আরব ও কাফকো থেকে সার কেনার পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি টাকা।
সৌদি আরবের মা’এডেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২২৮ কোটি টাকা। কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি টাকা। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি টাকা।এ ছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি টাকা।
সচিব জানান, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা। তিনি জানান, বৈঠকে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে ‘জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট এবং দিনাজপুরে ৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ সংক্রান্ত পূর্ত কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৬৬ কোটি টাকা।