শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিউইয়র্কে ২৪ মে থেকে চার দিনব্যাপী বাংলা বইমেলা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

আগামী ২৪ মে থেকে চার দিনব্যাপী নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা-২০২৪-এর ৩৩তম আসর শুরু হচ্ছে। বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস জানান, ‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানে এই মেলাকে গত বছরের অভিজ্ঞতায় প্রবাস প্রজন্মকে আরও নিবিড়ভাবে জড়িত করার প্রয়াস রয়েছে। এতে নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী প্রতিনিধি সেমন্তী ওয়াহেদের নেতৃত্বে প্রবাসে জন্মগ্রহণকারী অথবা বেড়ে ওঠা কবি, সাহিত্যিক-লেখক-সাংবাদিক-শিল্পী-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অংশ নেবেন।

গত ১৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা জিএফবি গ্রুপের কর্ণধার গোলাম ফারুক ভূইয়া জানান, এ মেলার মধ্য দিয়ে লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এর অন্যতম হচ্ছে মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার, যার অর্থমান ৩ হাজার ডলার। এই পুরস্কার আগে পেয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, শামসুজ্জামান খান, আসাদ চৌধুরী, আবদুুল্লাহ আবু সায়ীদ, সেলিনা হোসেন প্রমুখ।

আরেকটি পুরস্কার দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠ বইয়ের জন্য এবং সেটির নাম হচ্ছে কবি শহীদ কাদরী স্মৃতি গ্রন্থ পুরস্কার। যার মূল্যমান এবার বাড়িয়ে ৫০০ ডলার থেকে ১ হাজার ডলার করা হয়েছে। তৃতীয় পুরস্কার ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশনা পুরস্কার’, এটি দেওয়া হয় মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্টলকে।

মেলার কমিটির চেয়ারপারসন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী জানান, এই বইমেলাকে নিয়ে প্রবাসী লেখকদের ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে-যা পাওয়া যাবে মেলায়। এ ছাড়া এবারের মেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের কর্মসূচিও রয়েছে। প্রবাস প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জোরালোভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ সংযোজন।

উদ্যোক্তা সংগঠন ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’র সিইও বিশ্বজিৎ সাহা জানান, বাংলাদেশ, ভারত, লন্ডন, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখকদের সদ্য প্রকাশিত ১০ হাজার বই নিয়ে মেলায় থাকবে ৪০টি স্টল। বাংলাদেশ ও কলকাতার পর বাংলা বইমেলার এটি হচ্ছে তৃতীয় বৃহত্তম মেলা। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ২৪ মে সন্ধ্যা ৬টায় খোলা মঞ্চে বৃন্দগান আর নৃত্যের মাধ্যমে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। পরদিন শনিবার বেলা ১১টা থেকে একইভাবে রাত ১১টা পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ ও ভিতরের মূলমঞ্চ। এদিনের সেমিনারের বিষয় হচ্ছে ‘১৯৭১ এর জেনোসাইড কেন এখনো স্বীকৃত নয়’। ২৬ মে কর্মসূচির অন্যতম হচ্ছে ‘প্রবাসের সাহিত্য মূল্যহীন’ শীর্ষক সেমিনার। কথোপকথনে থাকবে ‘বাংলা নাটকের এদিন সেদিন। সমাপনী দিবসের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে থাকবে ‘কীভাবে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করবেন’ শীর্ষক আলোচনা।

 

 

সর্বশেষ খবর