শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির। তীব্র দাবদাহে ফসলের ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সবজির দাম। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে কোথাও ৫০ টাকার নিচে মেলেনি কোনো সবজি। একইভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও এখনো ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। যার কারণে নিত্যদিনের বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। নগরের চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী চউক মার্কেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটোর। এর মধ্যে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ ১২০-১৪০, শসার দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ এবং ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ ৪০, মিষ্টিকুমড়া ৩৫, আলু ৬০, ঢ্যাঁড়শ ও চিচিঙ্গা ৫০, বেগুন ৮০, ঝিঙে ৭০, বরবটি, গাজর ও পেঁপে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাবদাহে সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। আবার কাঁচামরিচ ও শসার মতো কিছু সবজির জোগান একেবারে কমে যাচ্ছে, তাই বাড়ছে দাম।

অন্যদিকে নগরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২২৫ টাকা, সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৮০ টাকা কেজি। এর বাইরে দেশি মুরগি বিক্রি ৬৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯০০ এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, আকারভেদে পাঙ্গাশ ১৮০-২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ২৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, সুরমা ৩৫০ থেকে ৬৫০, টেংরা ৩৭০ এবং নারকেলি মাছ ২৫০, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দিনবাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, গরমে গাছসহ সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আবার স্থানীয় সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। এত দিন চকরিয়ার কাঁচামরিচ আসত, এখন আর আসছে না। ওইরকম অনেক সবজি উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে। ফলে পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। আর তাই দামও বাড়ছে সবজির।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কুর বলেন, ডিমের দাম আবারও বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বাড়তি দরে কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়।

 

সর্বশেষ খবর