রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইজারা দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের দুর্দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বন্ধ হওয়া খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত দৌলতপুর পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ইজারা (লিজ) দেওয়া হয়েছে ফরচুন গ্রুপকে। দীর্ঘদিনেও তারা মিলের ২৫০টি তাঁত মেশিনের সব কয়টি চালু করতে পারেনি। স্বল্প পরিসরে উৎপাদনে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫০-২০০ জনের। পাটকলের একাংশে জুতা তৈরি কারখানা করা হয়েছে। একই ভাবে ক্রিসেন্ট পাটকলে ১ হাজার ১০০টি তাঁতসহ যন্ত্রপাতি, লোহালক্কর অযত্নে পড়ে আছে। জং ধরা ভাঙা মেশিন, এটা সেটা খুলে পড়ে আছে। সুনসান নিস্তব্ধ প্লাটিনাম ও খালিশপুর পাটকলেরও একই অবস্থা।

ইজারা দেওয়া এসব পাটকল গতকাল পরিদর্শন করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় তিনি পাটকলের দুর্দশা দেখে হতাশা প্রকাশ করেন। লিজের শর্ত ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, লিজ দেওয়া মিলগুলো দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। শিল্প কলকারখানা করার কথা বলে মিল বরাদ্দ নিয়েছে কিন্তু আশানুরূপ কোনো ফলাফল দিতে পারেনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এ সময় সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ জুলাই খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকল বন্ধ করা হয়। এতে চাকরি হারান ৩৩ হাজার শ্রমিক। গত চার বছরে চারটি পাটকল ইজারা দেওয়া হলেও সেখানে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি।

এ অবস্থায় গতকাল পাটকলগুলো পরিদর্শনকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত মিলের কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিয়ে বিদায় দিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আবারও মিলগুলো গড়ে তুলবেন। যাতে এ এলাকার দক্ষ শ্রমিকরা চাকরিতে পুনর্বহাল হতে পারে। কিন্তু যারা লিজ নিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে মিলগুলোতে কোনো সূচনা করেনি। নিজের চোখে দেখা বিষয়গুলো ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ইজারা না দিয়ে সেখানে অর্থনৈতিক জোন করার দাবি উঠেছে। মিলে জমি নতুন করে অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। অর্থনৈতিক জোন করলে সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠবে, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ খবর