শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন পর ১৪-দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জোট প্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ১৪-দলীয় জোটের বৈঠক ডাকার বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই হবে ১৪-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বৈঠক। ওই নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের অনেক নেতা নৌকা প্রতীক পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজয়ে জোট নেতাদের মধ্যে অনেক অসন্তোষ আছে।

গত নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাসদের রেজাউল করিম তানসেন ছাড়া আর কেউই বিজয়ী হতে পারেননি। এ নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী ১৪-দলীয় জোটের অনেক শরিক নেতারা প্রকাশ্য তাদের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ১৪-দলীয় জোটের অস্তিত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদর্শিক ১৪-দলীয় জোট বহাল রয়েছে। শিগগিরই তিনি জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকটি ডাকা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে ১৪-দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে জোট নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়েছে। বৈঠকে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিকসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪-দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।

২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪-দলীয় জোট। ফলে নবম সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জোটের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তবে এবার মাত্র দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ নৌকা প্রতীক পাওয়া ১৪ দলের বাকিরা কেউই নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর