বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
জবির মেডিকেল সেন্টার

২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসক দুজন

► নেই পর্যাপ্ত ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম ► আটজন জনবল দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অধ্যয়ন করছেন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী। রয়েছেন দেড় হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ বিপুল সংখ্যক জনবলের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র দুজন। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সেবা দিতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন কর্মরত চিকিৎসকরাও। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা।

মেডিকেল সেন্টারে দুজন ডাক্তারসহ রয়েছেন তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট, দুজন অফিস সহকারী ও একজন নার্সসহ সর্বমোট আটজন। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।

জানা গেছে, জবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভাব-অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের অভিযোগ- যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। বিশেষ রোগে চিকিৎসা দিতে নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না এ চিকিৎসা কেন্দ্রে। বেশির ভাগ সময় শিক্ষার্থীরা জটিল সমস্যা কিংবা বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে এলে তাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। এ ছাড়া গাইনি বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকটের কারণে কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, পদ না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও চিকিৎসক বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ইউজিসির কাছে আবেদন করা হয়েছে।

তবে জবি মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান ডা. মিতা শবনম বলেন, শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য এখানে আসেন কিন্তু আমরা তাদের যথাযথ সেবা দিতে পারছি না। এতে আমাদের নিজেদেরও খারাপ লাগে। গত ১২ বছর ধরে দুজন চিকিৎসক দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছি কোনোরকম। আটজন জনবল দিয়ে কোনোভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার চলতে পারে না। এখানে আরও অনেক বেশি লোকবলের প্রয়োজন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ইউজিসি পদ না দিলে আমরা নিয়োগ দিতে পারব না। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও আমি চেষ্টা করছি নতুন করে মেডিকেল সেন্টারের অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়াতে। মেডিকেল সেন্টারে সব ধরনের ওষুধ নেই এটা সত্যি। ইউজিসি যেটুকু বাজেট দেয় তা সামান্য বললেই চলে। আমি বাজেট বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেছি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি হাসপাতালগুলোকে আমি অনুরোধ করব আমাদের শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য।

সর্বশেষ খবর