নতুন নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিএমইএ। ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য অর্জনে বাজার বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন পণ্যে রপ্তানি সম্প্রসারণের এ সহযোগিতা চাওয়া হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ সহযোগিতা চান। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত ১৫ বছরে সরকারের নীতি সহায়তার ফলে নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি ৮৪৭ মিলিয়ন ডলার থেকে ৮ হাজার ৩৭০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা আরও বেগবান করতে বেশকিছু নতুন বাজার, বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এজন্য সেসব দেশে আয়োজিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণ, ক্রেতাদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং, রোড-শো আয়োজনে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এসব সম্ভাবনাময় বাজারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। এ ছাড়া দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সম্ভাব্য প্রভাব এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে শুল্কমুক্ত সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে নতুন নতুন বাজার তৈরি ও পণ্য বহুমুখীকরণের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে তিনি এসব সম্ভাবনাময় বাজারে শুল্ক বাধা দূর করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে অবহিত করেন।