বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে।

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ১৪ দলের শরিকদের দূরত্ব বেড়েছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে কম আসনে ছাড়, সরকারে না রাখা, কর্মসূচি ও বৈঠক না হওয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ শরিক দলের অনেক নেতা। কেউ কেউ প্রকাশ্যে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নে তুলেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ১৪ দলের নেতাদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে শরিক নেতাদের অভিমান ও জোটে সৃষ্ট দূরত্ব কমার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ১৪-দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ১৪ দল নেতারা। ওই বৈঠকে জোটবদ্ধ নির্বাচন এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৬টি আসন ছাড়লেও এবার কমিয়ে মাত্র ছয়টি আসন ছাড়া হয় শরিকদের জন্য। এতে ক্ষুব্ধ হন জোট নেতারা। এ ছাড়া শরিকদের আপত্তি সত্ত্বেও ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ। ফলে ছয়টির মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জেতেন শরিক দলের নেতারা। নির্বাচনে জয় লাভের পর আওয়ামী লীগের গঠিত সরকারেও রাখা হয়নি শরিক দলের কাউকে। জোটের শরিক নেতাদের অনেকেই বলছেন, তারা প্রাপ্য সম্মান চান। অবহেলার পাত্র হয়ে থাকতে চান না। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জানতে চান তারা।

জোট নেত্রীর সঙ্গে বসার একদিন আগে মঙ্গলবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বাসভবনে বৈঠক করেছেন শরিক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তারা কী বলবেন, সে বিষয়ে নিজেরা পরামর্শ করেন।

২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪-দলীয় জোট। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ ২৩ দফা কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে এই জোট যাত্রা শুরু করে। একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠনের অঙ্গীকারও ছিল তাদের। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে মহাজোট সরকারে শরিকদের কয়েকটি মন্ত্রিত্ব দেওয়া হলেও ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কোনো নেতার ঠাঁই হয়নি।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর