সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

তিন দশকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দশকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

তিন দশকে পদার্পণ করেছে রাজধানীতে কর্মরত পেশাদার রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এ উপলক্ষে গতকাল বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করেছেন ডিআরইউ সদস্যরা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয় সেজেছিল উৎসবের সাজে। বেলা ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সংগঠনের সাবেক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দুপুর ১২টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন ডিআরইউ সদস্যরা। এরপর ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কেক কাটা হয়। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতির দলের  নেতা ডিআরইউ নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ১৯৯৫ সালের ২৬ মে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রিপোর্টারদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, মানোন্নয়নসহ সদস্যদের কল্যাণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

পেশাজীবীরা দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন : ডিআরইউর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ পেশাজীবী সংগঠন তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পারে না। পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশার চেয়ে দলীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে। পেশাকে গুরুত্ব দিলেই ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব হবে। এ সময় ডিআরইউর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেশাজীবী হিসেবে শক্তিশালী হতে চাইলে আপনি সাংবাদিক-এটাই হচ্ছে বড় পরিচয়।

সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে কাজ করতে হয় : ডিআরইউর তিন দশকে পদার্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে না, এমন সময়ে সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে কাজ করতে হয়। বর্তমানে দেশে সে অবস্থা বিরাজমান। সরকার এবং সংবাদপত্রের মালিকদের চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন আর বাংলাদেশে নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না।

সর্বশেষ খবর