বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চান হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা কত- জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যেসব পদে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন, সেসব পদের বিপরীতে দেশে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কত-তাও জানাতে চেয়েছেন আদালত। আদেশে পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টজনকে প্রতিবেদন আকারে এসব তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। রুলে অননুমোদিত কর্মীসহ অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে।

গতকাল এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।

রুলে অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছর ১৯ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন ঢাকার বাসিন্দা মোয়াহতাসিম ইসলাম, নওশিন নাওয়ার নূরজাহান, মুমতাহিনা আলম, মাইশা মুনাওয়ারা। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-সম্মান পাস করে এখন শিক্ষিত বেকার। ওই নোটিশে তারা দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন, অননুমোদিত বিদেশি কর্মী ও অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন-১৯৪৬, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫২, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন-১৯৪৭ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবাব না পেয়ে হাই কোর্টে রিট করেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর