একই সঙ্গে দুই নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং (মার্কিন) ও এয়ারবাসের (ইউরোপীয়) কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব পায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। কার কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নিয়েই চলছিল জল্পনা-কল্পনা। গতকাল বিমানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল আজিম সাংবাদিকদের ইঙ্গিত দিয়েছেন এয়ারবাসের কাছ থেকেই কেনা হতে পারে উড়োজাহাজ। এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

শফিউল আজিম বলেন, ‘এয়ারবাস উড়োজাহাজ কেনার জন্য দুইটা প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটাতে দুইটা কার্গো উড়োজাহাজ বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো উড়োজাহাজ দরকার নাই। তবে আমরা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের বহর বৃদ্ধির ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চারটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে এগোনোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।’

 তবে যে এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন, দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।’

সম্প্রতি দূরপাল্লার কয়েকটি নতুন রুট খুলেছে বিমান। এর মধ্যে কানাডার টরোন্টো, জাপানের নারিতা এবং ইতালির রোম রয়েছে। এর বাইরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। বন্ধ হয়ে যাওয়া আরও কয়েকটি দূরপাল্লার রুট পুনরায় চালুর পরিকল্পনাও আছে বিমানের।