শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধ ভেসে গেল জোয়ারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধ ভেসে গেল জোয়ারে

খুলনার কয়রা উপজেলার দশহালিয়া বাঁধ গতকাল দুপুরে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। লবণপানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা - বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া খুলনার কয়রা উপজেলার দশহালিয়া বাঁধ মেরামতে দুই দিন ধরে কাজ করছিলেন স্থানীয়রা। ভেঙে যাওয়া বাঁধের দুটি স্থান ঘিরে বাঁশ, মাটির বস্তা দিয়ে রিংবাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ও বালিভর্তি বড় টিউব না থাকায় দুর্বল থেকে যায় ওই স্থানগুলো। ফলে গতকাল দুপুরে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বাঁধ। লবণপানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে প্রায় অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে সুপেয় পানি ও খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সময় বাড়িঘরে পানি ঢুকলে দুর্গতরা খাটের ওপর অথবা বাঁধের ওপর আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্গতদের মাঝে খাবার বিতরণ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে ওই স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণে বুধবার কাজ শেষ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু গতকাল আবার জোয়ারের পানিতে তা ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তাঁদের কাছে বাঁধে ভাঙন আটকানোর জন্য বড় টিউব থাকলেও পর্যাপ্ত বালু ও তা পরিবহনের ভলগেট (জাহাজ) সময়মতো না পাওয়ায় বাঁধ আটকানোর পর সেখানে বালুভর্তি টিউব ফেলা যায়নি। ফলে দুর্বল বাঁধ জোয়ারের পানিতে আবারও ভেঙে যায়।

মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড গুরুত্ব দেয় না। বাঁধে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে জোয়ারভাটার পানি ওঠানামা করছে, কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। তবে পাউবো উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সার্বক্ষণিক বাঁধ তদারকি করা হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরিও পরিশোধ করা হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর