শিরোনাম
রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিয়ম ভেঙে নেসকোতে গোপনে ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেসব নিয়ম মানার কথা, সেগুলো না মেনে গোপনে এসব নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান দল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের ১০৪তম সভায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নেসকোর বিধিমালা অনুযায়ী এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া বাধ্যতামূলক। একই পদে অন্তত কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বীও থাকতে হবে। নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণও বাধ্যতামূলক। তবে এসব শর্তের কোনোটিই মানা হয়নি ৩১ জনকে নিয়োগের ক্ষেত্রে। এমনকি মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। কোনো ধরনের পরীক্ষা ও বিজ্ঞাপন প্রচার ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথমে অস্থায়ীভাবে নেসকোতে যুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে গোপনীয়ভাবে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিরুল ইসলাম ও তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) সৈয়দ গোলাম আহাম্মদ মিলে এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার, নেসকোর বিধিমালা ও সরকারি চাকরির বিধিমালা লঙ্ঘন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ নিয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি নেসকোকে এসব নিয়োগের ও ১০৪তম সভার রেকর্ডপত্র ২৬ জানুয়ারি সরবরাহ করার জন্য বলা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে নেসকোর সহকারী ব্যবস্থাপক সাদ আবদুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জুনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক (এইচআর) পদে নিয়োগ পাওয়া জামিউল ইসলাম বলেন, ‘কোনো বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা হয়েছে কি না এগুলো প্রশাসনিক প্রশ্ন। এগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারাই বলতে পারবেন।’

দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) আশিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কমিশনকে আপডেট জানানো হবে। কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্তাধীন বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাননি দুদকের এই কর্মকর্তা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর