শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

অপরাধ কমাতে স্কাউটিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পত্রিকার পাতা খুললেই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর চোখে পড়ে। এ অবস্থায় কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্কাউটিং ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গ্রামে গ্রামে যদি স্কাউট আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, তাহলে কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। গতকাল সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি এতে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানও বক্তব্য রাখেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব, মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের কিশোর-তরুণদের ওপর মারাত্মক কুপ্রভাব ফেলছে। শহর-উপশহরে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান এসবেরই বহিঃপ্রকাশ। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে তথ্য-প্রযুক্তি, কম্পিউটার, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রায়োগিক কলা-কৌশল রপ্ত করতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বার্থপরতা, হিংসা, লোভ ও নৈতিকতার অবক্ষয় মানুষের সুকুমার বৃত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। শিশু, কিশোর ও যুবকদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্কাউট নেতাদের আরও বেশি তৎপর হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল ও মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কর্মপ্রেরণায় সব কাউন্সিলর, স্কাউটার ও স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি উল্লেখ করেন, যুব বয়সীদের সৎ, চরিত্রবান, আদর্শ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বজনবিদিত ও কার্যকর শিক্ষামূলক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউট আন্দোলন। বর্তমানে স্কাউটের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮৭ হাজার যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটসের ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান-২০৩০ অনুসারে স্কাউট সদস্য ৫০ লক্ষে উন্নীত করার পাশাপাশি এর গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও স্কাউটিংয়ে সমানভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, ইপিআই কর্মসূচি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং পরিবেশ সচেতনতার মতো স্কাউটদের সেবাধর্মী কাজ তৃণমূল পর্যন্ত আরও বিস্তৃত হলে দেশের মানুষও এর সুফল পাবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দেশের যুব সম্প্রদায়কে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর