মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
বগুড়া

স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শাজাহানপুরে আবাসিক হোটেলে আশামনি (২১) ও তার ১১ মাস বয়সি শিশু আবদুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত রবিবার দিবাগত রাতে নিহত আশামনির বাবা আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় হত্যার কারণ অজানা দেখিয়ে নিহত আশামনির স্বামী আজিজুল হক ও তার বাবা হামিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুজনই গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগে রবিবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানীর শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে আশামনি ও আবদুল্লাহর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আজিজুলের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে গত শনিবার বিকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শহরে বের হন আজিজুল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শুভেচ্ছা  হোটেলের একটি কক্ষে ওঠেন। এরপর বগুড়া শহর থেকে গরু জবাই করার চাকু কেনেন। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে প্রথমে স্ত্রীকে বাথরুমে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন আজিজুল। এরপর শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করতে গিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। পরে সন্তানের মাথা ব্যাগে ভরে হোটেল কক্ষে তালা দিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের ফতেহ আলী রেলসেতু থেকে করতোয়া নদীতে  ফেলেন। স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আজিজুল হক শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হারানোর মিথ্যা নাটক সাজান। তিনি শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর শহরে খোঁজাখুঁজি করে থানায় অভিযোগ নিয়ে যান। গত রবিবার সকালে স্ত্রী-সন্তানের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন। পরে  বেলা ১১টার দিকে ভাড়া পরিশোধ করতে আজিজুল হোটেলে গেলে তার কথাবার্তায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। এক পর্যায়ে আজিজুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হোটেলটির ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে তার স্ত্রী ও সন্তানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো শিশু আবদুল্লাহর কাটা মাথা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত রবিবার রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল করতোয়া নদীতে গ্রেফতার আজিজুলের দেখানো জায়গায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। গতকাল আবারও শিশুটির কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযান চলে।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার আজিজুল ও তার বাবা হামিদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর