শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেই মোতালেবের পেটে সুচ-লোহা ও কঞ্চি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

২০২৩ সালে মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়। তখন চিকিৎসকদের কাছে তিনি ওয়াদা করেছিলেন কখনো আর এসব জিনিস খাবেন না। কিন্তু কলমগুলো বের হতে কোনো কষ্ট না হওয়ায় মোতালেব আবারও লোহার সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি খেয়ে ফেলেন। পরে পেট ব্যথা শুরু হলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সার্জারির মাধ্যমে তার পেট থেকে লোহার সুচালো সরঞ্জাম, কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন। সে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলত নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে। যুবক মোতালেব হোসেন জানান, গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন অনেক কলম বের হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যথা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আবারও এগুলো খেয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর খাব না।

হাসপাতালের চিকিৎসক ইরিন আলম বলেন, গত মাসের ১৩ মে মোতালেব হোসেন পেট ব্যথা-বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যথা কমে না। এরপর আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পাই তার পেটের ভিতর লোহার মতো সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি। পরবর্তীতে সার্জারি চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে ৪টি ধারালো লোহার তাঁতের সরঞ্জাম, একটি কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন। তিনি বলেন, এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। যখন ভালো থাকে তখন কিছু করেন না। যখন রোগটা বেড়ে যায় সে অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে ফেলে। তাকে মানসিক চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে।

সার্জারি ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত বছর মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়েছিল। এবারও যখন পেট ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় তখন আগের সিমটম তার মধ্যে দেখা যায়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার পেট থেকে কলম ও সুচালো জাতীয় ধারালো জিনিসগুলো বের করা হয়। গত বছরও অপারেশন ছাড়া বের করায় সে কষ্ট না পাওয়ায় আবারও সে এগুলো খেয়েছিল। তবে এবার ওয়াদা করেছেন আর খাবেন না।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর