শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সংকট নিরসনের নির্দেশনা নেই বাজেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এক বিবৃতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে সংকটের চক্রে ঘূর্ণায়মান দিশাহীন বাজেট বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, বিগত বছরের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ চিহ্নিত করে দূর করার দিকনির্দেশনা বাজেটে নেই। ফলে অর্থনীতি সংকটের চক্রেই ঘুরপাক খেতে থাকবে। সরকারের দুর্নীতি, অপচয় ও লুণ্ঠনমূলক নীতির দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে কর ও ভ্যাট বৃদ্ধির বাজেট জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বহুগুণ বাড়াবে। তিনি বলেন, আইএমএফের পরামর্শ মেনে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। জিডিপির অনুপাতে এটি গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বাজেট। বাজেট ছোট হলেও সরকারি ব্যয় কমবে না, বরং জনগণের ওপর কর ভ্যাটের বোঝা বাড়ানোর নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী তিন মাসেই ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাম জোট : প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ও ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেট হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে গরিব মেহনতি মানুষের পক্ষে গণমুখী বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জোট নেতারা বলেন, ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে দেশি-বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করা হয়েছে। আর্থিক খাতের এ সংকট নিরসনে গতানুগতিক এ বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থানের কোনো দিকনির্দেশনাও বাজেটে নাই।

সিপিবি : প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেবে না। বাজেটে নানাভাবে কর ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পথ আরও প্রশস্ত করা হয়েছে। গরিব মেরে ধনী পোষার অতীতের ধারা এবারেও বাজেটে অব্যাহত থাকবে। এ সংকোচনমূলক বাজেট প্রবৃদ্ধি কমাবে কিন্তু বেকারত্ব বাড়াবে।

জাসদ : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখায় প্রচেষ্টার বাইরে নতুন কিছু না।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সংকট মোকাবিলা, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা দূর করা, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং খাত এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া বাজেট বাস্তবায়ন ও আগামী অর্থনীতির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট কাঠামোর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংশোধনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও সরকারকে খোলামন নিয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর