রাজধানীবাসীকে সতর্ক করতে আটটি পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকা থেকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে গ্রামে যাওয়া ঘরমুখো মানুষের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে জুমার খুতবা পাঠের আগে রাজধানীর মসজিদগুলোয় এসব পরামর্শ পাঠ করে শোনানো হয়। গতকাল ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য প্রতিটি মসজিদে খুতবার আগে থানার ওসি থেকে শুরু করে অন্য কর্মকর্তারা পরামর্শটি পড়ে শোনান। পরামর্শগুলো হলো-যাওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করতে হবে। যে কোনো অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে প্রথমে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের হতে দিতে হবে। এর আগে কোনো অবস্থায়ই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে। চোর রাতের বেলা বাসার পেছনের অংশ দিয়ে জানালা ভেঙে চুরি করে। বাসার পেছনেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। রাতে কিংবা দিনে মাস্ক কিংবা ক্যাপ অথবা একসঙ্গে মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন দিতে হবে; মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম লাগাতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে। অপরিচিত কেউ কোনো কার্ড কিংবা কাগজ দেখিয়ে কোনো ঠিকানা বা তথ্য জানতে চাইলে কিংবা রুমাল বা অন্য কোনো কিছু মুখের কাছে আনার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে মুখ সরিয়ে নিতে হবে এবং প্রয়োজনে আশপাশের লোকজনের সাহায্য নিতে হবে এবং চোরেরা রাতের বেলা অন্ধকার থাকা বাসা সহজে শনাক্ত করে চুরির জন্য টার্গেট করে। এ বিষয়ে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে।