মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দখলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পদ্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দখলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পদ্মা

রাজশাহীর বড়কুঠির সামনে পদ্মায় এক সময় পানি ছিল। সেখানে নৌকাও চলত। কিন্তু এখন পানি নেই। নদীর জায়গা দখল করে সেখানে গড়ে উঠেছে ফুডকোড। রাজশাহীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চের স্থানে কয়েক বছর আগেও ছিল প্রমত্তা পদ্মার জলধারা। কয়েক বছর আগে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সেখানে চর জেগেছে। বর্ষায় কিছুদিন পানি উঠলেও সারা বছর থাকে শুকনো। নদী আরও দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেগে ওঠা চরগুলো দখল করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট ও স্থায়ী পাকা স্থাপনা। ব্যক্তিগত দখল ছাড়াও রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নির্মাণ করেছে একাধিক পাকা ভবন।

শুধু তাই নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শহর রক্ষা বাঁধ ঘিরে নদী দখলে রেখেছেন আরও ৬০০ দখলদার। এসব দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য তালিকা করে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে পাউবো। বিজিবি এবং সিটি করপোরেশন নদীর জায়গায় স্থাপনা করে ব্যবসা করছে। নগরীর পদ্মা নদী তীরবর্তী লালন শাহ মুক্তমঞ্চের পূর্ব ও পশ্চিমে নদীর ভিতরে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক পাকা ভবন। সিটি করপোরেশন নির্মাণ করেছে ভবনটি। এর ঠিক পশ্চিমে বিজিবি নদীর বিশাল এলাকা দখল করে তৈরি করে রেখেছে সীমান্তে অবকাশ ও সীমান্তে নোঙর নামে দুটি রেস্তোরাঁ, সম্মেলন কেন্দ্র, ফাস্টফুড ও কফিশপ। নদীর ভিতরে বাতায়ন নামে করেছে আরও একটি দ্বিতল ভবন। এর পাশেই নিজেদের জমি উল্লেখ করে দখল নিয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। নগরীর বড়কুঠি, শহীদ মিনার, তালাইমারী ফুলতলা ঘাটেও এ ধরনের স্থাপনা করেছে সিটি করপোরেশন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, রাজশাহীতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। বিনোদন কেন্দ্র বলতে শুধু পদ্মা নদী। মানুষের বসার জন্য কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজশাহীতে পদ্মা নদী দখলের যেন মহোৎসব চলছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, রাজশাহীর বেড়পাড়া থেকে তালাইমারী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী দখল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, নদী দখলের বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদী দখল হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। যারা দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তাদের আগে সময় দেওয়া হবে। তারপর কথা না শুনলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর